বিশেষ প্রতিবেদক :

ভোক্তভূগীদের প্রত্যক্ষ বক্তব্য নিয়ে কক্সবাজার জেলা থেকে প্রকাশিত পাঠক প্রিয় অনলাইন কক্সবাজার নিউজ ডটকম পত্রিকায় প্রকাশিত পেকুয়ার পাহাড়ে দুই ভাইয়ের রাম রাজত্ব শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে পাহাড়ী জনপদের বাসিন্দাদের প্রকাশ্য হুমকি অব্যাহত রেখেছে বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী এলাকার জাফর আলমের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম ও তারই অপর ভাই মো. আলমগীর। বনরাজা খ্যাত জাহাঙ্গীর ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী আলমগীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে মুখ খুললে বাসিন্দাদের হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে নাম প্রকাশ না করা শর্তে বেশ কয়েকজন ভোক্তভূগি জানিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানায়, পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ও টইটং ইউনিয়নের পাহাড়ী এলাকা নিয়ে অপরাধের ত্রাসের এক রাজত্ব কায়েম করে পাহাড়ী জনপদের প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে ওই দুইভাই। এমন কোন অপরাধ নেই যা পাহাড়ী জনপদে সংগঠিত করছেন না তারা। তাদের বিরুদ্ধে বনভূমির মূল্যবান গাছ কেটে পাচার, পাহাড় কেটে মাটি পাচার, বালি দস্যুতা, নারী নির্যাতন, মাদক ব্যবসা, অস্ত্রবাজি, ধর্ষণ, হত্যার হুমকিসহ বহু অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। পেকুয়া থানা মামলাও রয়েছে একাধিক।

সরেজমিন টইটং ইউনিয়নের পাহাড়ী জনপদের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে এসব অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।

স্থানীয় এলাকাবাসীরা নাম প্রকাশ না করা শর্তে আরো বলেন, ওই দুই ভাইয়ের নেতৃত্বে পাহাড়ী জনপদে গড়ে ওঠা সশস্ত্র বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে রয়েছে টইটংয়ের সোনাইছড়ি রমিজপাড়া, এবাদাতখানা, জুগিরছড়া, ধনিয়াকাটার পূর্বপাড়া, নতুনঘোনা, বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালীসহ দুই ইউনিয়নের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। অস্ত্রের মুখে সাধারণ মানুষের দখলীয় ভূমি বা বসতঘরের মাটি কেটে নিয়ে বিক্রি করে দেয়া, পাহাড়ী ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে বিক্রি করে চলছে তারা। এছাড়াও পাহাড়ি জনপদে মাদক ব্যবসা, নারী নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

বনরাজা খ্যাত জাহাঙ্গীর আলম সম্প্রতি ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় বেড়ে গেছে তার ক্ষমতার পরিধি। নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আরো বেশি পাহাড়ি এলাকা। তাদের পালিত অস্ত্রধারী ক্যাডারদের হাতে নির্যাতিত হয়ে সাধারণ মানুষ বিচার চাইতে গিয়ে মারধরের শিকার হবার অভিযোগও রয়েছে ওই ইউপি সদস্য ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

এছাড়াও সংবাদ প্রকাশের জের ধরে পেকুয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের হুমকি দিয়েছেন ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর। পেকুয়া কর্মরত একজন সাংবাদিককে বুধবার (১৯এপ্রিল) ৩টা ৩৩ মিনিটে ০১৮৬৮১৬১৭৭০ নাম্বারের মোবাইল ফোন থেকে মারধরের ও মামলার হুমকি প্রদান করে সে।